এক নজরে : গাজা এখন ইসরাইলের ‘নরসংহারের ল্যাবরেটরি ‘
১) অবরুদ্ধ গাজাকে ইসরাইল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে জ্বলন্ত এক আগুনের গোলকে পরিণত করেছে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পরমাণু বোমা ব্যবহার করলে এই ধরনের নরসংহার ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়।
২) ঘেরাবন্দি গাজায় একমাত্র রাফাহ সীমান্ত ছাড়া বের হওয়ার আর কোনও পথ নেই। আর ইসরাইলের বন্ধু মিশরের প্রেসিডেন্ট এল সিসি সাধারণ আর্ত মানুষের জন্য রাফাহ সীমান্তে কঠোর অবরোধ জারি রেখেছে। ঘরহারা নারী-শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থ যারা কয়েকদিন ধরে ক্ষুধার্ত, পানীয় জল থেকে বঞ্চিত, প্রচন্ড গরমে মাথার উপর যাদের কোনও ছাদ নেই তাদের অবস্থা দেখলে বোঝা যায়, মহাবিপর্যয় বলতে কি বোঝায়।
৩) শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বের সবথেকে বড় জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে এক ইনসাফ প্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পরিচিত, তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরাইলের জিওনিস্টরা হচ্ছে ‘ফিলিস্তিনের জবরদস্তি দখলদার’।
৪) রাশিয়া-সহ বহু রাষ্ট্র বলেছে, গাজায় ইসরাইলি বোমা বর্ষণ সমস্ত আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করেছে।
৫) ইসরাইল গাজার সমস্ত পরিকাঠামো (বিদ্যুৎ, পানি, যোগাযোগ ব্যবস্থা) বিনষ্ট করে দিয়েছে। গাজার ভিতর ঢুকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বর্ধিত হারে যে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তার কোনও খবর সামনে আসতে পারছে না। গাজাকে ইসরাইল সমগ্র বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে তাদের হলোকাষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষ-শিশুদের উপর। তবে হামাস মুজাহিদরা প্রাণপনে লড়ে যাচ্ছে। আর ইসরাইল নানা ধরনের নিষিদ্ধ বোমা ও বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করছে।
৬) ইসরাইল যেভাবে গাজার অভ্যন্তরে ঢুকে ধ্বংস কাজ চালাচ্ছে, তাতে হামাসের হাতে ২০০-র বেশি ইসরাইলি যুদ্ধবন্দি রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহে দেখা দিয়েছে।
৭) রাজা-বাদশাহ ও স্বৈরাচারী সামরিক জেনারেলদের দ্বারা যে আরব দেশগুলি শাসিত তারা মুসলিমদের এই বিপর্যয়ে কোনও ভূমিকাই রাখতে পারছে না। এই অবস্থাতেও এই দেশগুলি ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বশংবদের ভূমিকা পালন করছে। তবে আরব ও মুসলিম জনগণ সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভের দ্বারা প্রমাণ করেছে, তারা এই লড়াইতে হামাসের মুজাহিদদের সঙ্গে রয়েছে।