পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতারের আদালত। গত বছর থেকে জেলবন্দি ছিলেন তাঁরা। আদালতে এদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে কাতার। কাতারের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, সাবমেরিনে যে ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশন সিস্টেম লাগানোর কথা, তার উপর অভিযুক্তরা গুপ্তচর বৃত্তি করছিলেন। এর সপক্ষে তাঁদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন কাতারের গোয়েন্দারা। কাতারের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে নয়া দিল্লি।
আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী অফিসারকে ফিরিয়ে আনুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি আরও বলেন, প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসারদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার খবর অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক।’ এক্স-এ ওয়াইসি লেখেন, ‘ নরেন্দ্র মোদি গর্বভরে বলেন, ‘ইসলামী দেশগুলি তাকে কতটা ভালবাসে। অথচ ওরা মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই আমাদের প্রাক্তন নৌ অফিসারদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন। ’
ভারতীয় প্রাক্তন ৮ নৌসেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি । বিদেশ মন্ত্রকের এক পদস্থ অফিসারের কথায়, ‘আমরা দোহাকে এটা বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে কোনও ভারতীয় গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু তার পরও তাঁদের সিদ্ধান্তে কোনও বদল হয়নি।
২০২২ সালের ৩০ আগস্ট, কাতার কর্তৃপক্ষ এই ৮ ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল। তখন থেকে ওই আধিকারিকরা ছিলেন নির্জন কারাবাসে। বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এই ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ে গভীরভাবে মর্মাহত। বিশদ রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’ মন্ত্রক আরও বলেছে যে তারা ‘সমস্ত আইনি বিকল্প খুঁজে দেখছে।’
উল্লেখ্য, মোদি জমানায় আবারও চরবৃত্তির অভিযোগে বিদেশের মাটিতে মৃত্যুদণ্ডের মুখে ভারতীয় নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। এর আগে একই দায়ে পাকিস্তানে ফাঁসির সাজা হয়েছিল কুলভূষণ যাদবের। আন্তর্জাতিক আদালতে দ্বারস্থ হয়ে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীর সেই শাস্তি রুখতে সমর্থ হয় নয়াদিল্লি। কিন্তু আজও মুক্তি পাননি তিনি।