পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধের ফলে ৯৬ শতাংশ গাজার বাসিন্দারা দারিদ্রের যন্ত্রণা ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতি এবং সামাজিক কমিশন (পশ্চিম এশিয়া) বা এসসিডব্লিউএ। ২০১৭-১৮ সালে গাজার দারিদ্রসীমা ছিল ৪৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইএসসিডব্লিউএ।
২০০৭ সাল থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে গাজাকে কারণ প্যালেস্তিনিয়দের চলাফেরাকে একটি সীমায় আটকে রেখেছে ইসরাইল। ইএসসিডব্লিউএ-এর মতে প্যালেস্তিনিয়দের সমষ্টিগতভাবে শাস্তির মুখে ফেলে রেখেছে ইসরাইল, ২০০০ সালে গাজা ছেড়ে চলে গেছেন ৫ লক্ষ মানুষ।
২০২২ সালে প্রতি মাসে ৩৫,৩৭০ জনকে গাজা ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বহু বছর ধরেই গাজায় আর্থসামাজিক মাপদণ্ড নিম্নমুখী হয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে মাথা পিছু জিডিপি ছিল গাজাবাসীর ১২৫৬ ডলার যা ২০০০ সালে ১৯৭২ ডলার থেকে নিতে নেমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ৭ অক্টোবরের আগে বাস করছিলেন গাজাবাসী বলে জানিয়েছেন ইএসসিডব্লিউএ’র পরিচালন সচিব রোলা দাস্তি।
তিনি বলেন, ইসরাইল আক্রমণের পর এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে তাই আন্তর্জাতিক মহলের কর্তব্য হল গাজায় মানবিকতার খাতিরে অবিলম্বে সাহায্য পাঠানো। ইএসসিডব্লিউএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী গাজায় এখন ৯৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্যের যন্ত্রণায় ভুগছেন এবং অন্যান্য বিকট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ইসরাইলের বোমা বর্ষণের ফলে গাজার মানুষ।
শুধু দারিদ্রর ভুগছেন না, ইসরাইলের বোমা বর্ষণের ফলে তারা অতি প্রয়োজনীয় জিনিষ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন যেমন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, জল, খাবার, বিদ্যুৎ ইত্যাদি। দাতি সতর্ক করে বলেছেন যদি এখনও যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় এবং মানবিক সাহায্য গাজায় এসে পৌঁছয় তবুও সেখানকার মানুষের দারিদ্র ঘুচবে না। তারা এই যুদ্ধে যা হারিয়েছেন সেগুলি জোগাড় করতে তাদের কয়েক দশক পেরিয়ে যাবে।
এর কারণ হল বহু মানুষের মৃত্যু অর্থাৎ মানবিক মূলধনের ক্ষতি এবং আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোর ক্ষতি। তিনি বলেন, যুদ্ধ বিরতির পর গাজাকে ফের বাসযোগ্য করার জন্য একটি বড় রকমের প্রকল্প প্রয়োজন হবে যাতে অংশগ্রহণ করতে হবে আন্তর্জাতিক সমাজকে তাছাড়া যুদ্ধ চলার সময় এখনই গাজায় প্রয়োজনীয় মানবিক সাহায্যের।