পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ৩১ অক্টোবর যাওয়া সম্ভব নয়। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান রয়েছে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পূর্বনির্ধারিত সেইসব অনুষ্ঠানগুলি। অতএব ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন ডেকে পাঠানো হোক তাঁকে। শুক্রবার সংসদের এথিক্স কমিটিকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
গৌতম আদানির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী দর্শন হিরান্দানীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সংসদে ৬১ টির মধ্যে ৫০ টি প্রশ্ন মহুয়া আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে করেছিলেন, এমন অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরে অভিযোগ গড়ায় এথিক্স কমিটিতে। বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত দুবে ও মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু, আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই-র বয়ান রেকর্ড করেছে কমিটি। ওই দিনই ৩১ অক্টোবর মহুয়াকে তলব করা হয়েছিল।
মহুয়া জানিয়েছেন। তিনি যে রাজ্যের সাংসদ সেখানে দূর্গাপুজো হয়। পূর্বনির্ধারিত সূচি যেহেতু বাতিল করা সম্ভব নয়, তাই ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন ডাকা হোক তাঁকে। তিনি বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির উদাহরণ দিয়ে লেখেন, বিধুরিকে যখন ডেকেছিল কমিটি তখন তিনি রাজস্থানে ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তখন তাকে সময় দেওয়া হয়েছিল। অতএব মহুয়ার ক্ষেত্রেও যেন তাঁর সমস্যার কথা মাথায় রাখা হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মহুয়া লিখেছেন, তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের আগেই অভিযোগকারী দুবে ও জয়ের কথা শুনেছে এথিক্স কমিটি। এটা ঠিক নয়! পাশাপাশি যেদিন তাঁকে ডাকা হবে সেদিন ব্যবসায়ী হিরান্দানীকেও ডাকার আবেদন জানিয়েছেন মহুয়া। তাঁর মতে, হিরান্দানী টাকা ও উপহার দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এবং প্রয়োজনে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন। তাঁকে সামনে রাখলে জানা যাবে, কি কি উপহার হিরান্দানী মহুয়াকে দিয়েছিলেন। তাছাড়া হিরান্দানীকে প্রশ্ন করাটা তাঁর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রিপোর্ট তৈরি করার আগে হিরান্দানীর বক্তব্য না শুনলে সেটা ক্যাঙারু কোর্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মহুয়া।
মহুয়াকে তলব করে চিঠি দেওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন কমিটির সভাপতি। এই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মহুয়া এদিনের চিঠিতেও বলেছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।