পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে বসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশের সংগঠন উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি) এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট ‘আশিয়ান’ ও প্রখ্যাত সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
শুক্রবার সউদি আরবের রাজধানী রিয়াধে দুই আঞ্চলিক জোটের নেতাদের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গাজায় ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ এবং ত্রাণ প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ইসরাইলি সেনাদের আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশনের নীতি ও বিধানগুলি মেনে চলা ও জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে দুই জোটের নেতৃবৃন্দরা। বিশেষ করে মহিলা, শিশু, অসুস্থ, বয়স্কদের।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে গ্রেটা থুনবার্গ জানান, আমরা ফিলিস্তিন ও গাজার প্রতি অনাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আর চুপ থাকলে হবে না। নিন্দা না, এবার বিশ্ব’কে ‘অ্যাকশন’ নিতে হবে। কথা বলতে হবে। ফিলিস্তিনি ও ক্ষতিগ্রস্ত সকল বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার আহ্বান জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, জিসিসির সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বাহারাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্যদিকে আশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
প্রসঙ্গত, বুধবার গাজার আল-আহলি-আরব হাসপাতালে রকেট হেনেছে ইহুদি বাহিনী। মুহূর্তেই ‘ছাই’ হয়ে গেছে ৭০০ মানুষ। মাটিতে মিশে গেছে আশেপাশের ঘর-বাড়ি, হাসপাতালের গা ঘেঁসে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। গাজা’কে মানচিত্র থেকে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে আংশিক সাফল্য পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাচ-গানের ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছিল অত্যাচারী ইসরাইলের সেনাবাহিনী। ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পরেও লাভ কিছু হয়নি। বরং বেড়েছে আরও রকেট হামলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে ফের গাজার পরফিরাস গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ ক্যাম্পাসে হামলা চালায় নেতানিয়াহু সেনা। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ৯ জন বেসামরিক।