পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: একের পর এক হামলা, রকেটের আঘাত, ইসরাইলের দিক থেকে ছুটে আসা গুলি, বোমার ধাক্কায় জর্জরিত গাজা। হামাস যোদ্ধাদের ‘নিকেশ’-এর লক্ষ্যে ইহুদি সেনারা নির্বিচারে প্রাণ কাড়ছে বহু শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। এতকিছুর পরেও ফিলিস্তিনের পাশে সরাসরি দাঁড়ায়নি আরব বিশ্বের কোনও দেশ। কেবল নীতিমূলক কিছু কথা বলেই দায় সেরেছেন কয়েকটি দেশ। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা করে আলোচনার দাবি রাখে কলোম্বিয়া। এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে তিনি জানান, ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় শহর রামাল্লায় খুব শীঘ্রই দূতাবাস খুলতে চলেছে তারা। কলম্বিয়ায় নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গালি দাগান এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রউফ আল-মালিকির সঙ্গে বৈঠকের পর পেট্রো এই বিবৃতি জারি করেছেন।
এদিন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো জানান, উভয় দেশের কাছে শান্তির আবেদন জানাচ্ছি। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের প্রতিটি শিশুর বাঁচার অধিকার রয়েছে। আমরা গাজার উপকণ্ঠে মানবিক সাহায্য সহ একটি বিমান পাঠাতে চলেছি। আমি আশাবাদী এর মাধ্যমে মানবিক করিডোর খুলবে। সেই জন্য কলম্বিয়া ফিলিস্তিনের রামাল্লায় তার দূতাবাস খুলবে।
এদিনের পোস্টে পেট্রো আরও জানান, গাজার হাসপাতালে ইসরাইলের নির্লজ্জ আক্রমণ সত্যি নিন্দনীয়। সমস্ত আন্তর্জাতিক আইনে রয়েছে যে, যুদ্ধ হলেও হাসপাতালে হামলা করা যাবে না। এছাড়া মানবিকতার সাধারণ দাবিও এটাই। কিন্তু বর্বরতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি শিশু-মহিলাদের প্রাণে মেরে নিজের দেশের শিশু-মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া যায় না, এটা বুঝতে হবে ইসরাইলকে। যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি ফেরেনা। শান্তি আসে চুক্তির মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক আইন এবং উভয় জনগণের স্বাধীনভাবে সহাবস্থানের অধিকারকে সম্মান দিয়ে। এদিন ইসরাইল বোমা হামলায় শহিদ ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি শেয়ার করেন পেট্রো। উল্লেখ্য, তিন দিন আগেই গাজার হাসপাতালের উপর নেমেছিল ভয়াবহ হামলা। মুহূর্তে নিহত হয়েছিল ৭০০ মানুষ। যার মধ্যে ছিল অসংখ্য শিশু, মহিলা ও শরণার্থী।