দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: ত্রিপুরায় বিজেপি ভাঙছে, ভাঙবে, এবং ওখানে তৃণমূল দখল নেবে। নলহাটিতে পুজো দিয়ে ফেরার সময় মন্তব্য করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রবিবার নলহাটিতে (সি এ ডি সি ) কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাজ দেখতে আসেন মন্ত্রী।
সেখানে আধিকারিকদের নিয়ে সি এডিসির তথা পশ্চিম বঙ্গ সামাজিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কাজ কর্ম খতিয়ে দেখেন ও তারপর বৈঠক করেন। প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নলহাটি বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং, নলহাটি এক পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, বিধান সভা ডেপুটি স্পীকার আশীষ বন্দোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর তথা লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা প্রমুখ।
এদিন বিভাগীয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এডিএমকে বলেছি স্টাফ প্যাটার্নের তৈরী করে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে। প্রথমে হয়তো কিছু কম স্টাফ দেব। আস্তে আস্তে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক বাজেটে সি এ ডি সি আছে। তারপর তিনি নলহাটির ঠ্যাঙা গ্রামে সি এ ডি সির ফার্ম পরিদর্শনে যান। সেখানে ফার্ম কাজ দেখে তিনি বলেন, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, কারা করোনা কালে মানুষের দোরগোড়ায় মধু ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পৌঁছে দিত। এই কাজ করতো সি এ ডি সি। গ্রামীন অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অসীম। প্রথম দিকে সি এ ডিসির ব্যাপারে অতটা উৎসাহিত ছিলাম না, পরে এদের কাজ দেখে অনেক আশাবাদী। বীরভূমের গ্রামীন আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম সি এ ডি সি। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। বামফ্রন্ট আমলে এক ব্যাক্তির মাথায় সি এ ডি সির পরিকল্পনা আসে। কিন্তু সেই আমলে সেরকম কাজ হয় নি। এখন যথেষ্ট কাজ হচ্ছে। আমরা চাই গ্রামের মানুষ সাবলম্বী হোক। বিভিন্ন সেল্ফ হেলপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিজেদের উৎপাদন বাজারজাত করুক। সরকার পাশে আছে। তাদের আয় তাদের কাছে থাক। এর থেকে এক কানাকড়ি সরকার চায় না।
এদিন মন্ত্রী বলেন, ভবানীপুরে উপনির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে আমি আছি। আজই আমাকে ফিরে কাজে নামতে হবে।