পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজায় ইসরাইলি বাহিনী নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে পথে নামল বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ থেকে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বার্সেলোনার স্পেন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সকলেই।
বাংলাদেশসহ ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কাশ্মীরে গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের রোম, মিউনিখ, ইস্তাম্বুল, বেলগ্রেডসহ নানা শহরে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মিছিলে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ করা হয়েছে ইহুদি স্কুল।
টানা সাত দিন ধরে নারকীয় বোমাবর্ষণের মধ্যে শুক্রবার গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘নিজেদের নিরাপত্তার জন্য’ দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এর পর থেকেই প্রাণভয়ে উত্তরাঞ্চল ছাড়তে শুরু করে গাজাবাসী।
ইসরাইলি হামলায় বিপর্যস্ত গাজা। খাবার, জল, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার হামলা শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৫৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪৭ শিশু সহ ২৪৮ জন মহিলা। আহত সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ১৫৩১ শিশু সহ ৯৩২ মহিলা। ১০ জন চিকিৎসক নিহত হয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিন মিলিয়ে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। প্রায় ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১৩০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ৩৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে