গাজা, ১২ অক্টোবর: ইসরাইলের বিরামহীন হামলায় প্রায় ধবংসস্তূপে গাজা। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক অসহনীয় পরিবেশে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে গাজাবাসী। প্রাণের ভয়ে হাসপাতাল, স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। হাসপাতালগুলি পরিণত হয়েছে শরণার্থী শিবিরে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় রাষ্ট্রসংঘের অন্তত ১১ জন কর্মী সহ স্কুলের ৩০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, ‘ স্কুলের ৩০ জন ছাত্রও নিহত হয়েছে, আহত আটজন। মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই মৃত্যুর খবর জানান।
দুজারিক দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, এই সব কর্মীরা বাস্তুচ্যুতদের প্রয়োজনের ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছিলেন। সংস্থাটি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লিখেছে, তাদের ১১ জন সহকর্মী নিহত হয়েছেন। কয়েকজন তাদের বাড়ির মধ্যেই নিহত হয়েছে।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধে সাধারণ মানুষকে কখনই টার্গেট করা উচিৎ নয়। যুদ্ধের লক্ষ্য কখনই স্থানীয় নাগরিক ও মানবিকতার মৃত্যু হতে পারে না। সর্বদা তাদের রক্ষা করা আবশ্যক।
শনিবার গাজায় ইসরাইলে বিমান হানায় রাষ্ট্রসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’র (ইউএনআরডাব্লুএ) কর্মীদের মৃত্যুর পর এই মন্তব্য করেন ‘হু’ প্রধান।
টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস কর্মীদের টিম সহ মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই মৃত্যুতে তিনি বিধবস্ত।
প্রসঙ্গত, হামাসের উপর এক আক্রোশে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক অট্টালিকা। এদিকে ইসরাইলকে আরও যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত শনিবার থেকে চলা যুদ্ধ বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। ইসরাইলের ওপর আকস্মিক আক্রমণকে অপারেশন ‘আল-আকসা বন্যা’ নাম দিয়েছে হামাস। অভিযানের প্রথম ২০ মিনিটে হামাস ৫ হাজারেরও বেশি রকেট ছুঁড়েছে বলা জানা যায়। পালটা হামাসের উপর আক্রোশ মেটাতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল।