পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আঙ্কারার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা ছাড়াই আছে। ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জল সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। রাষ্ট্রসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে। শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় কোনো ত্রাণ পৌঁছয়নি এবং সোমবার ইসরায়েল এই অঞ্চলে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ ঘোষণা করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যুৎ, খাদ্য, জ্বালানি ও জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এ ঘোষণা দেন। অপরদিকে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদানও উত্তেজনা কমাতে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। তুর্কি নেতা জানান, তুরস্ক যেহেতু সংকটকালে সহায়তা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ; তার অংশ হিসেবে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
অপরদিকে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এরদোগান। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া গাজার জনসংখ্যার উপর সম্মিলিত ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই অঞ্চলে আরও সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন এরদোগান।
হামাসসহ সংঘর্ষে জড়িত উভয় পক্ষকেই যুদ্ধের নৈতিক মান মেনে চলার আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি এই সংকটময় সময়ে দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তার উপর আহ্বান জানান।