উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : পড়ুয়াদের গ্রহ সম্পর্কে জানানোর জন্য বসানো হলো টেলিস্কোপ জয়নগরে। সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের বিভিন্ন গ্রহ সম্পর্কে জানার জন্য এই প্রথম বসানো হলো টেলিস্কোপ জয়নগর শ্রী কৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।মহাকাশ বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে ভারত বর্ষ। চন্দ্রযান ৩ থেকে শুরু করে ভারতবর্ষের মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
ভারতবর্ষের মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায়।কয়েক কোটি দূরে তারা ও নক্ষত্রদের জগতে নজর রাখছে ভারতের ইসরো। শৈশব থেকে মহাকাশের বিভিন্ন উপগ্রহ সম্পর্কে জানার জন্য এই অভিনব উদ্যোগ নিল সুন্দরবনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার শিশুদের মহাকাশ সম্পর্কে জানার জন্য বিদ্যালয়ে বসানো হলো টেলিস্কোপ। বিদেশে বিভিন্ন স্কুলে মহাকাশ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করার জন্য টেলিস্কোপ বসানোর কথা আমরা অনেক শুনেছি। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য জানার জন্য পড়ুয়াদের মহাকাশ সম্পর্কে অবগত করা এবং মহাকাশ বিভিন্ন নক্ষত্র ও উপগ্রহের গ্রহের উপর নজর রাখতে সুন্দরবনে এই প্রথম বসানো হলো টেলিস্কোপ।
জয়নগরের শ্রীকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেলিস্কোপ বসালো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে পড়ুয়ারা নজর রাখতে পারবে মহাকাশে। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, চতুর্থ শ্রেণীর একটি অধ্যায় রয়েছে আমাদের আকাশ সেই অধ্যায় পড়ানোর সময় আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকারা দেখেছে, পড়ুয়ারা শুধু জানছে কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না।
আকাশের যে অজানা তথ্য যে বৃহস্পতি, মঙ্গল, শনি প্রকৃতি গ্রহকে। সৌর মন্ডলের এই সকল গ্রহকে চেনানোর জন্য আমরা বিদ্যালয়ের একটি টেলিস্কোপের ব্যবস্থা করেছি। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে রাতের পড়ুয়ারা বিভিন্ন গ্রহকে তাদের নিজে চোখে দেখতে পাবে। এর ফলে পড়াশোনার মান আরো উন্নত হবে। নিজের চোখে এ সকল গ্রহকে দেখার পর পড়ুয়ারা সে সকল অধ্যায় খুব অতি সহজে নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারবে। এর ফলে পড়াশোনার মন আরো উন্নত হবে।
সুন্দরবনের এই প্রথম কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের এই টেলিস্কোপ লাগানোর পর থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা যেমন উৎফুল্ল তেমনি উৎফুল্ল ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া জানায়, এই টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে আকাশ দেখতে আমাদের খুবই ভালো লাগে।
বিভিন্ন গ্রহ সম্পর্কে আমরা জানতে পারি এবং আমাদের স্যারেরা অতি যত্ন সহকারে সৌর মন্ডলের বিভিন্ন গ্রহকে আমাদেরকে দেখায়। আমাদের অভিভাবক অভিভাবিকা রাও রাতে আমাদের নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। আমরা বইয়ের পাতায় বিভিন্ন গ্রহ সম্পর্কে পড়েছি কিন্তু নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি আমাদের অনেক ভালো লাগছে।-