উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: বর্ষাতে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় আতঙ্কিত প্রশাসন। তবে এখনো পর্যন্ত এই জেলায় মত্যুর কোনো খবর মেলেনি।
প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা এলাকায় চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৫ জন।
এই মহকুমার ৭ টি ব্লক ও তিনটি পুরসভার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বারুইপুর, সোনারপুর, জয়নগর ১ নং ব্লক ও রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে প্রশাসন। এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। চলছে এলাকা পরিষ্কার করার পাশাপাশি মাইকিং। বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন ও এলাকায় মশা নিয়্ন্ত্রণের জন্য আলাদা দল তৈরি হয়েছে। নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গুর সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন বিডিও সহ পদাধিকারীরা।
জ্বর হলে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়, তাও দেখা হচ্ছে। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মশা মারার স্প্রেও ছড়ানো হচ্ছে সর্বত্র। জমা জল, আবর্জনা সরাতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের।আর এব্যাপার বারুইপুর মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সমস্ত রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বাড়ি বাড়ি সার্ভে করা হচ্ছে।” আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জমা জল ফেলার ব্যবস্থা করছেন। জ্বর হলেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি।ডেঙ্গু হলে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে দেখাশোনা করছে।এলাকার মানুষকে সচেতন করতে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি।মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে সচেতন হতে হবে।নিজের বাড়ির আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে তাহলেই আমরা ডেঙ্গু মুক্ত সমাজ দেখতে পাব। এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের এক পক্ষকাল ধরে স্বচ্ছতাই সেবা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে প্রতিটা এলাকায়।