পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে চলতি বছরে কতজন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তার হিসেব দিল কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৭ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জন জঙ্গি সীমান্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, বাকি ৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা। কেন্দ্রের তরফে বুধবার এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলির একাধিক অভিযানে আটক করা হয়েছে ২০৪ জন সন্দেহভাজক।
গত মাসেই যৌথ অভিযানে ৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। আটক করা হয় ৪০ জনকে। চলতি মাসে মোট ৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে ৩৪ জঙ্গিকে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে মোট ১১১ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন স্থানীয় জঙ্গি এবং ৭১ জন বিদেশি। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ১৩৭।
উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। জঙ্গি দমনে চলতি সপ্তাহ ধরে সাতদিনব্যাপি দীর্ঘমেয়াদি অভিযান চালানো হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেনা অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) কমান্ডার উজাইর খান এবং তার সহযোগী নিহত হয়। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় সম্প্রতি জঙ্গি আনাগোনা ও গতিবিধি অনেকটাই কমেছে, দাবি কেন্দ্রের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে জঙ্গি নিহতের সংখ্যা ১৮৭। এর মধ্যে ৫৭ ছিল বিদেশি জঙ্গি, ১৩০ জন স্থানীয়। বহু জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। গত বছর ১৩৭ জন জঙ্গি সক্রিয় থাকার খবর পাওয়া যায়।
এক বর্ষীয়ান সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার লক্ষ্য যুবকদের সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখা। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে তাদের জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আধিকারিক বলেছেন যে, স্থানীয় যুবকদের সন্ত্রাসী দলে যোগদান থেকে বিরত রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য আশাবাদী। লাগাতার অভিযানের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখা। লক্ষ্য ছিল সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা।
বিগত তিন বছর ধরে কৌশলগতভাবে সেই অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিছু জঙ্গি মডিউল উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য সক্রিয় ছিল, কিন্তু বেশিরভাগকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবেশি দেশের মদদে জঙ্গি কার্যকলাপ জিইয়ে রাখতে তারা অনেক সময় হুমকি দিচ্ছে।