পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের স্লিপেও এবার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার নাম এবং লোগো ব্যবহার করতে চায় কেন্দ্র সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতাও তুঙ্গে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পালটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেশ গ্রাহকদের স্লিপে ‘খাদ্যসাথী’ এবং রাজ্য সরকারের নিজস্ব লোগো ব্যবহারের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। আর এই নিয়েই ফের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ্রা।
বর্তমানে উপভোক্তারা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পের আওতায় আওতায় বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন। রেশন গ্রাহকদের স্লিপে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের কথা স্লিপের মাধ্যমে তুলে ধরার উদয়োগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিলেও পরিবহণ,ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের কমিশনের টাকা গুণতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যকেই। সেক্ষেত্রে রাজ্যের খরচের কথাও স্লিপে উল্লেখ করতে হবে। এমনকী বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর।
রাজ্যের রেশন প্রাপক উপভোক্তাদের স্লিপে যদি কেন্দ্র সরকারের ভর্তুকির প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকে, তবে রাজ্যের অবদান এবং বিশ্ব বাংলার লোগো রাখার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতরের। পাশাপাশি খাদ্যসাথী প্রকল্পের লোগোটিও রাখতে চায়ছে রাজ্য সরকার।
যদিও এই প্রসঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই রেশন স্লিপে কোন প্রকল্পের খতিয়ান উল্লেখ থাকবে, তা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে এনএফএসএ এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় আট কোটির বেশি মানুষ চাল এবং গম বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ৩ টাকা কিলো দামে চাল এবং দুই টাকা কিলো দামে গম সরবরাহ করতো কেন্দ্র সরকার। সেই প্রকল্পেও ভর্তুকি দিত রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের ভর্তুকির ফলেই রাজ্যের উপভোক্তারা রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে পেতেন।