অমৃতসর ২৬সেপ্টেম্বর:
পাঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি কিন্ডার গার্ডেনের স্কুলের ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পাঞ্জাব রাজ্য মানবাধিকার কমিশন হস্তক্ষেপ করেছে।লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার মনদীপ সিং সিধুকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে।এই ঘটনার স্বত:প্রণোদিত তদন্তের নির্দেশ এবং একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভিডিওতে একজন শিক্ষককে সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারের এক শিশু- ছাত্রকে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে তার পায়ে আঘাত করতে দেখা যাচ্ছে।শিশুটি চিৎকার করে কাঁদছে,আর তাকে না মারার জন্য অনুরোধ করে চলেছে।শিশু ছাত্রটির বিরুদ্ধে পেন্সিল দিয়ে সহপাঠীকে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।হামলার জন্য দায়ী শিক্ষককের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৫,৮২,৩৪২ ,৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে।ডেপুটি জেলা শিক্ষা অধিকার (প্রাথমিক) মনোজ কুমার সাংবাদিকদের বলেছেন, “শিক্ষা বিভাগ পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে। একবার আমরা পুলিশের রিপোর্ট পেয়ে গেলে, আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদন কম্পাইল করব এবং তা পাঞ্জাব স্কুল শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে শেয়ার করব। পরবর্তীকালে, তারা স্কুলের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসার রশ্মি দেবি সহ শিক্ষা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তি এবং স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শিশুটির বাবা-মা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
রশ্মি ব্যাখ্যা করেছেন, “রাজ্য শিশু অধিকার কমিশনের নির্দেশ মেনে, আমাদের দল একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেছে। শিক্ষকের বক্তব্য, পেন্সিল দিয়ে আঘাত করার ঘটনার কারণে তিনি শিশুটিকে মারধর করেছিলেন। আমরা পরিবারকে ন্যায়বিচার এবং শিশুটির সুস্থতার আশ্বাস দিয়েছি। উপরন্তু, আমরা পুলিশকে কিশোর বিচার আইনের ৭৫ ধারার অধীনে শিক্ষককে অভিযুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি, যে ধারা শিশুদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সম্পর্কিত।”