পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রতি বছরই বিভিন্ন উৎসবে ছুটির দাবি করে ব্যানার লাগানো হয় ম্যাঙ্গালুরুর ‘ফিশ পোর্ট’-এ। মূলত মাছ ব্যবসায়ীরা এই ব্যানার দেন। ধর্ম নির্বিশেষে উৎসবের কথা মাথায় রেখে ছুটির আবেদন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে-মিলাদ-উন-নবী। সেকথা মাথায় রেখে সবার ছুটির আবেদন করা হয়েছে ওই মৎস বন্দরে। যা নিয়ে বেজায় চটেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।
শরণ পাম্পওয়াল (ভিএইচপি নেতা) এদিন জানান, মোল্লাদের কাছে নত হব না। ওরা বললেই ছুটি নিতে হবে নাকি? ওদের হুমকি ব্যানারের কাছে মাথানত করার মতো কাপুরুষ আমরা নয়। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার প্রেক্ষিতে সংস্থার সভাপতি কে.আশরফ জানান, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সব উৎসবেই ছুটির আবেদন করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি গণেশ চতুর্থীতেও তাই হয়েছে। আজকের বলে নয়, এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
বারকুর পূজা , উচিলা পূজা, ঈদুল ফিতর, বকরিদ, ঈদ মিলাদ, গুড ফ্রাইডে এবং বড়দিনের সময় এই ছুটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয় সমস্ত ধর্মের মানুষরা একত্রে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব ধর্ম ও তার আচার-আচরণকে আমরা সম্মান দি। এখানে একত্রে কাজ করি আমরা। ধর্মীয় কোনও ভেদাভেদ নেয় আমাদের মধ্যে। তবে কিছু মানুষ আছে যারা আমাদের মধ্যে ঝামেলা লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বিশ্ব-হিন্দু পরিষদের সদস্যরা যে ভাবে আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে একটা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে তা দুঃখজনক। সবাইকে অনুরোধ কেউ ওদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিভ্রান্ত হবেন না।