পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংসদ ভবন নাকি ‘মোদি মাল্টিপ্লেক্স’! প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের। শুধু তাই নয় নয়া ভবনকে ‘শ্বাসরোধী’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে রমেশ লিখেছেন, নতুন সংসদ ভবন নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো কম হল না। নেপথ্যের উদ্দেশ্য এখন জলের মতো স্বচ্ছ। সামনে ভোট। নতুন ভবন দমবন্ধ করে দেয়। একে অপরকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়। পুরনো সংসদ ভবনে উভয়কক্ষের মধ্যে সহজ সমন্বয় ছিল। সেখানে আলাপ-আলোচনার, বিতর্কের অপার সুযোগ ছিল। যা গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। পুরনো সংসদ ভবনের অলিন্দ ও লবি ছিল এক মিলনক্ষেত্র। ভবনের প্রতিটা কোণা ইতিহাস বলে। পুরানো ভবনের ঐতিহ্যই আলাদা ছিল। নয়া ভবনে সেই সুযোগ খুব কম। জয়রামের কথায় শুধু আমি নয়, বহু বিজপি সাংসদও একই কথা বলছেন।
২০২৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা পরিবর্তন হবে। নয়া প্রধানমন্ত্রী আসবেন। তারপর এই গোলকধারাকে কি ভাবে কাজে লাগানো যাবে তা চিন্তার বিষয়। স্থাপত্য যদি সত্যিই গণতন্ত্রকে হত্যা করতে পারে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধান পুনর্লিখন না করেই তা করতে সফল হয়েছেন।
জয়রাম রমেশের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বলেন, এমন মন্তব্য কংগ্রেসের নিন্ম মানসিকতার প্রতিফলন। এই অপমান ১৪০ কোটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। ১৯৭৫ সালেও সংসদ বিরোধী কাজ করেছে কংগ্রেস। আজকেও তাই করছে।
নয়া ভবনকে বৃহস্পতিবার সাত তারা হোটেল বলে কটাক্ষ করেছিলেন সপা সাংসদ জয়া বচ্চনও। দল নির্বিশেষে বহু সাংসদও নতুন পার্লামেন্ট ভবনকে নিষ্প্রাণ বলতে শুরু করেছে।