পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সহ আরও বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ইউনিটের উপর এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে কাজে যোগদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র ইউনিটের বিরুদ্ধে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অভিযোগের কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই তৃণমূল ভবনে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন দলের রাজ্য সভাপতি। জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ভবনে আয়োজিত বৈঠকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট সদস্যদের ডেকে কড়া ভাষায় সুব্রত বক্সী বুঝিয়ে দিলেন, দল এমন কাজ কোনভাবেই সহ্য করবেনা। বরং সোজা ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়।অন্যদিকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে যোগদানের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন।
কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ পাওয়ার পরেও নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজে যোগদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। ওই হাসপাতালে অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।সাংসদ শান্তনু সেন ইউনিট সদস্যদের জানান, রাজ্য সরকার এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবে না। গোটা বিষয়টি কানে যেতেই বিদেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।