পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ও মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও প্রযোজন নীস পাল সিং রানে। খুব স্বাভাবিকভাবে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস রয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে বিল্ডিং চত্বর।
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৩ কেন্দ্রেই ভোট গণনা ৩ অক্টোবর। বিধানসভা ভোটের আগে দুজন প্রার্থী মৃত্যু হওয়ায় সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর এই দুই আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। তিনটি আসনেই ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই আসন থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি এই আসনের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে এই আসনটির উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। এই আসন থেকে আগে দুবার জিতেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-তে তৃণমূল বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই আসনে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের আসন্ন উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণণূল কংগ্রেস ২১৩ আসনে জয়ী হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারির কাছে হেরে যান। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেও ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জেতার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। মমতা ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। সেই হিসেবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।