পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে উঠে গরু পাচার মামলা।এদিন দিল্লির নিম্ন আদালত জানিয়েছে – ‘আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অনুব্রত মন্ডল কে থাকতে হবে জেল হেফাজতে ‘। এবছরও জেলেই দুর্গাপুজো কাটবে অনুব্রতের। গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কেষ্টকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। আরও একবার বড়ল তৃণমূলের দাপুটে নেতার জেল হেফাজতের মেয়াদ। এদিন শুনানির পর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশ, -‘আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে’।গত বছরের অগাস্ট মাসে বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের কাছে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই হেফাজত শেষে তাঁর ঠাঁই হয় আসানসোল জেলে। পরে একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই সময় আবার খুনের চেষ্টার মামলায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভম জেলা সভাপতি।
পরে এই মামলায় তিনি জামিন পান এবং রামপুরহাট জেল থেকে ফিরে আসেন আসানসোল জেলে। এর পরেই গরু পাচার মামলা সরে দিল্লিতে। সেখানে গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর কেষ্টকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে।
সেখানেই রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।এদিকে জেলবন্দী অনুব্রতের গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে বীরভূমের রাজনীতিতে। দলের একাধিক কর্মসূচিতে আর থাকছে না অনুব্রতর ছবি। তবে বছর খানেক আগেও বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলই ছিলেন শেষ কথা। কিন্তু গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চাপে কেষ্ট। কোনও ভাবেই জেল থেকে বেরতে পারছেন না তিনি।আগামী ৩০ অক্টোবর দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।