পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ১৩ তম ব্রিকস সম্মেলনে উঠে এল আফগানিস্তানের বর্তমান প্রসঙ্গ। সম্মেলনের পৌরহিত্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্টÉপতি সাইরিল রামাফোসা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসানারো।
ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাবশালী কণ্ঠ হয়ে উঠেছে ব্রিকস। গত ১৫ বছর ধরে এভাবেই সৃষ্টিশীল কাজের দিশারী হয়ে উঠেছে ব্রিকস। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আজ আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এক প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছি। এই প্ল্যাটফর্মটি উন্নয়নশীল দেশগুলির অগ্রাধিকারগুলিতে মনোনিবেশ করার জন্য কার্যকর থেকেছে। গত দেড় দশকে ব্রিকস অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এখন আমরা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সবথেকে প্রভাবিত একটি গোষ্ঠী।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত দেড় বছরে করোনাকালে আমরা অনেক বৈঠক করেছি। আমাদের এই সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে। আমরা ‘ব্রিকস কাউন্টার-টেরোরিজম অ্যাকশন প্ল্যান’গ্রহণ করেছি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন,’ আমেরিকা তার সহযোগী রাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নতুন সংকট তৈরি করেছে। এখনও স্পষ্ট নয়, বিশ্ব শান্তিতে এই সংকট কতটা প্রভাব ফেলবে। তবে একটা ভালো দিক হল ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলি এই সংকটের উপর নজর রেখেছে। আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রে আফগানিস্তান প্রভাব ফেলবে নাএটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি যাতে আফগান সন্ত্রাসবাদ ও মাদক চক্র প্রভাব ফেলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রিকস সম্মেলনে নেতৃত্বে দিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এর আগে ২০১৬ সালে গোয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চিনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য আফগানিস্তানের তালিবান সাসন নিয়ে নীরব থেকেছেন। তিনি ব্রিকস সম্মেলনের গুরুত্ব ও ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে গত ১৫ বছরের পারস্পরিক সহযোগিতার আদান-প্রদান যেভাবে চলে আসছে তার গুরুত্ব তুলে ধরেন। গত ১৫ বছরে এই গোষ্ঠীভুক্ত এই ৫টি দেশ পারস্পরিকভাবে ইতিবাচক যোগাযোগ রেখেছে ও রাজনৈতিক বিশ্বাস অর্জন করেছে।