পারিজাত মোল্লা: নবগ্রামে পুলিশি লকআপে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আইসি ও এক সাব ইনস্পেকটর কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশি লকআপে যুবকের মৃত্যু মামলায় রিপোর্টও তলব করলেন। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে জানান, ‘যথেষ্ট গুরুতর ঘটনা। স্বচ্ছভাবে এর তদন্ত হওয়া জরুরি’।
মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার লকআপে গলায় বেল্টের ফাঁস দিয়ে গোবিন্দ ঘোষ নামে এক যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় কাঠগড়ায় নবগ্রাম থানার পুলিশ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে ঘটনার আগে ও পরের তিন দিনের মধ্যে থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে বলে আদালত নির্দেশ জারি করলো। পুলিশের থেকে এই মামলার তদন্তভার সিআইডি নিলেও, তদন্তের অগ্রগতি দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কিত রিপোর্ট আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সেনা বাহিনীর ব্যারাকে ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন গোবিন্দ। জুলাইয়ের শেষে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় গোবিন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সন্দেহের বশে ২ অগাষ্ট পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, কোনও এফআইআর ছাড়া তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকি চুরির কথাও জোর করে স্বীকার করানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ৪ অগাস্ট পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, গোবিন্দ অসুস্থ। তারপর থানায় যোগাযোগ করলে তাঁরা জানতে পারেন, গোবিন্দের মৃত্যু হয়েছে। গোবিন্দের গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ স্পষ্ট ছিল বলে দাবি পরিবারের। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে গোবিন্দকে। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার লকআপে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই পুলিশের দুই তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।