পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিবাজদের উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’ ছত্তিশগড়ে এক জনসভায় দুর্নীতিবাজদের হুঁশিয়ারি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ের বাঘেল সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভিযোপত্র জারি করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের লুট, নৃশংসতা এবং দুঃশাসন থেকে একমাত্র বিজেপিই পারে রাজ্যকে বাঁচাতে।
২০১৮ সালে বাঘেল সরকার গঠিত হওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থন নিয়ে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু বাঘেল সরকার গঠন করেছিল শুধুই লুটপাটের জন্য। এরপর শাহ বলেন, ‘২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ১১টি আসনেই বিজেপি জয়ী হবে। কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের আগেই ছত্তিশগড়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। ছত্তিশগড়বাসীকে আমি কথা দিচ্ছি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করব।’
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, আমি ছত্তিশগড়ের মানুষকে বলছি, আসন্ন নির্বাচন ছত্তিশগড়কে সাজানোর নির্বাচন। আদিবাসীদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু আজ ধর্মান্তরের হাওয়া বইছে। ছত্তিশগড়ের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা এমন সরকার চায় যারা যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নের নামে অনলাইন জুয়া খেলার প্রশিক্ষণ দেয়? বাজপেয়ীজির আমলে তৈরি হয়েছিল ছত্তিশগড়। শুধু বিজেপিই পারে রাজ্যকে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে।
অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ছাত্রদের দেওয়া ল্যাপটপগুলিও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল খেয়ে ফেলেছেন। বাঘেলজির কাছে জিজ্ঞাসা করতে চায়, মনমোহন সিং সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, দশ বছরে রাজ্য পেয়েছিল মাত্র ৭৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মোদি সরকার গত ৯ বছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আমাদের পনেরো বছরের সরকারের এক তৃতীয়াংশ কাজও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি ও চাটুকারিতায় মগ্ন। তিনি নির্বাচনী ইস্তেহারে ঋণ মকুবের করার কথা বলেছিলেন, কিন্তু তা করেননি। তেন্দুপাত্তা বোনাস বন্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের সরকার চরণ পাদুকা স্কিম চালায়। মদের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এই সরকার ২১৬১ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছে। অনলাইন বেটিংয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি, কয়লা কেলেঙ্কারিতে দুই হাজার কোটি টাকা, বন দফতরে এক হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, গোবর কেলেঙ্কারি, গোবরের নামে মাটি দেওয়া হয়েছে, ডিএমএফ কেলেঙ্কারি, টাকা নেওয়ার পর বদলি কেলেঙ্কারি। আমরা ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিবাজদের উল্টো ঝুলিয়ে দেব।