পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ সবাইকে কিছুটা অবাক করে দিয়েই সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয় মন্ত্রীর তরফে ট্যুইট করে এমনটা জানানো হয়েছে।
সদ্য শেষ হয়েছে সংসদে বাদল অধিবেশন। মণিপুর নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। সাংসদ পদ ফিরে পেয়ে সংসদে রাহুল গান্ধির প্রবেশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ বেশ ‘বর্ণময়’ হয়েছিল অধিবেশন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অধিবেশনের ডাক। সবাইকে চমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এদিন জানান, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর এই ৫দিন বিশেষ অধিবেশন চলবে সংসদে। এই বিশেষ অধিবেশনে পাঁচটি সিটিংয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। যোশী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘সংসদের বিশেষ অধিবেশন (১৭ তম লোকসভার ১৩ তম অধিবেশন, রাজ্যসভার ২৬১ তম অধিবেশন) ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হতে চলেছে। ৫টি সিটিং হবে। অমৃতকালের মধ্যে সংসদে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে চাইছি।’’ কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশনে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। ফলে জল্পনা বেড়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরনো সংসদ ভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনে কার্যপ্রক্রিয়া সব স্থানান্তরিত করা হতে পারে। সে জন্যই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কিংবা লোকসভার সম্প্রসারণের মতো ইস্যু নিয়ে বিল পেশ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। শিয়রে লোকসভা ভোট। চলতি বছরের শেষে রয়েছে ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। মঙ্গলবারই এক ধাক্কায় ২০০ টাকা সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম কমিয়েছে কেন্দ্র। কেউ কেউ মনে করছেন, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার বিষয়টিও এই অধিবেশনের একটি কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশংকা প্রকাশ করেছিলেন, মোদি সরকার লোকসভা ভোটে এগিয়ে এনে চলতি বছরের ডিসেম্বরে করতে পারে। ফলে এই বিষয়টিও উড়িয়ে দিতে পারছে না রাজনৈতিক মহল। যদিও সংসদে কর্মরত এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, কোন এজেন্ডাকে সামনে রেখে এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে, তা চূড়ান্ত হয়নি। তা চূড়ান্ত হবে পরের সপ্তাহে। তবে অভিন্ন দেওয়ান বিধি সংক্রান্ত বিল প্রস্তাবিত হওয়ার কথা নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের ৯-১০ তারিখ দিল্লিতে হবে জি-২০’র শীর্ষ সম্মেলন। ভারত এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে। ফলে, দিল্লিতে এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। সেই সম্মেলন শেষ হওয়ার পর সংসদে এই বিশে, অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সবমিলিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, এর আগে, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে কেন্দ্রের থেকে বামেরা সমর্থন তুলে নিয়েছিল। ওই বছর জুলাইতে একবার এই ধরনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল লোকসভায়।