পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ক্রমেই অসমের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বন্যার কবলে প্রায় দু’লক্ষ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমিও। মঙ্গলবার প্রবল বন্যার জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। ‘আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’-এর তথ্য বলছে, সোমবার অসমের বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। কমপক্ষে ১.৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিবসাগর জেলায় জলে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির ফলে রাজ্যের বেশিরভাগ নদীর জলস্তর বেড়েছে। অসমের বেশির ভাগ নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরপেটা, বিশ্বনাথ, ধুবরি, লখিমপুর, মরিগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর এবং উদালগুড়ি জেলাগুলি মারাত্মক ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে, বন্যার জেরে ১৭টি জেলার ৫২২টি গ্রাম এবং ৪২টি রাজস্ব বৃত্তের মোট ১,৯০,৬৭৫ জন মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বনাথ, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, জোড়হাট, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। জোড়হাটে জলের স্তর বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর গুয়াহাটি ও নিমাতিঘাটে ফেরি পরিষেবাগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেশ কিছু হাইওয়ে, পাবলিক রাস্তা, বাড়িঘর ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এএসডিএমএ অনুসারে, লখিমপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যেখানে ৪৭,৩৩৮ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ৮,০৮৬.৪০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার জলের তলায় রয়েছে।প্রচুর গবাদি পশুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।