পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৮৮.১৭ মিটার। দূরত্বটা খুব একটা কম নয়। বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের জ্যাভলিন থ্রোয়ে এত বড় দূরত্বে সাম্প্রতিক সময়ে কেউই জ্যাভলিন ছুঁড়তে পারেননি। হাঙ্গেরির রাজধানী শহর বুদাপেস্টে সেই দূরত্ব ছুঁড়ে শুধু নজিরই গড়েননি, ফাইনালে এই দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনার পদক ছিনিয়ে আনলেন অলিম্পিকজয়ী
সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। ফের একটা মাইলস্টোন পূরণ। অলিম্পিকে সোনা জিতলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাটা তাঁর অধরা ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ করেছেন নীরজ। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা অ্যাথলিটদের মধ্যে উচ্চারিত হচ্ছে নীরজ চোপড়ার নাম। তাঁর ভক্তের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। বুদাপেস্টে নীরজ সোনা জেতার পরই তাঁর এক হাঙ্গেরিয়ান মহিলা সমর্থক নীরজের কাছে ছুটে যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের অটোগ্রাফ নিতে। সেই মহিলা সমর্থকের কাছে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। মহিলা ভারতের জাতীয় পতাকা এগিয়ে দিয়ে নীরজকে সেখানেই অটোগ্রাফ দিয়ে দিতে বলেন।
কিন্তু এমন কাজ করতে চাননি নীরজ। তিনি প্রথমে কিছুটা হতবম্ব হয়ে যান। পরে সেই মহিলাকে বোঝান, এটা ভারতের জাতীয় পতাকা, ওর ওপর কিছু লেখা যায় না। সেটা দেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করা হয়। হাতের সামনে আর কোনও কাগজ বা অন্য কিছু ছিল না, যাতে নীরজ অটোগ্রাফ দিতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত নীরজ চোপড়া নিজেই পথ বাতলে দিলেন। সেই ভদ্রমহিলার টি-শার্টের হাতায় নিজের অটোগ্রাফ দিয়ে দিলেন নীরজ। সোনার ছেলের বুদ্ধিমত্তায় হতবাক সেই হাঙ্গেরিয়ান মহিলাও। নীরজ শুধু সেই মহিলাকে অটোগ্রাফই দিলেন না, জাতীয় পতাকাকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয়, সেটাও দেখিয়ে দিয়ে গেলেন।