পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঘুষ মামলায় এক চিকিৎসককে বেকসুর খালাস দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। ১৯৯৮ সালে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক রোগীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ঘুষ মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নেওয়ার’ প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেনি। প্রমাণের অভাবে চিকিৎসককে এই মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হল। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ২০০৭ সালে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রায়াল কোর্ট।
হাই কোর্টের বিচারপতি এস কে সাহু পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ট্রায়াল কোর্টের যুক্তি ত্রুটিপূর্ণ ও একতরফা ছিল, ডাক্তারের পক্ষে প্রকৃত প্রমাণ উপেক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকের দোষ প্রমাণ করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি অভিযোগকারিরা। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া ওইভাবে কারুর উপরে কোনও দোষ চাপানো যায় না। চিকিৎসকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সত্য স্মৃতি মোহান্তি, সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এস রিজভী।
১৯৯৮ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর ডাঃ প্রদীপ্ত কুমার প্রহরাজ নবারংপুর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে সহকারি সার্জন হিসাবে কাজের সময় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেরহামপুরের ট্রায়াল কোর্টে অতিরিক্ত বিচারক (ভিজিল্যান্স) ঘুষ কাণ্ডে চিকিৎসক প্রহরাজকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০০৭ সালে ২২ মার্চ চিকিৎসককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয় ১০০০ টাকা জরিমানা সহ। ওই বছরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক, জামিনে মুক্তি পান তিনি। তার পর থেকেই কারাগারের বাইরে ছিলেন ডাঃ প্রদীপ্ত কুমার প্রহরাজ।