পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করেছে জাপান। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সমালোচনা সত্ত্বেও এই কার্যক্রম থেকে পিছু হটেনি দেশটি। আর এতেই উদ্বিগ্ন হয়ে নুন কেনার হিড়িক চিনে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সাগরে তেজস্ক্রিয় ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্যসম্মত নুন উৎপাদন ব্যাহত হবে দেশে। রাজধানী বেজিং এবং অন্যতম বৃহত্তম শহর সাংহাই-সহ চিনের বেশকিছু জায়গার সুপারমার্কেটগুলোতে ইতিমধ্যেই লবণের তাক খালি হয়ে গেছে। এমনকি অনলাইন বিক্রয় প্ল্যাটফর্মগুলোতেও মজুত শেষের কথা জানিয়ে নুন বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। নুনের সংকট দেখা দেওয়ার পর চিনের ন্যাশনাল সল্ট ইন্ডাস্ট্রি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা নুন উৎপাদন, বিতরণ এবং বাজার সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ওভারটাইম কাজ করছি। অনুগ্রহ করে যৌক্তিকভাবে নুন কিনুন এবং আতঙ্কিত হয়ে কিনবেন না। মানুষ যে পরিমাণ নুন ব্যবহার করে তার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ সামুদ্রিক উৎস থেকে আসে। আর বাকিগুলো ভালো এবং দূষণ থেকে নিরাপদ।’ চিনের বিভিন্ন এলাকায় লবণের দাম নিয়ন্ত্রণে জরুরি নোটিশ জারি করা হয়েছে। হুনান প্রদেশের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, বেআইনি কাজের জন্য দাম উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেলে দোষীদের ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। অন্যান্য স্থানীয় বাজারের সুপারভাইজাররা নুন শিল্প অপারেটরদের দাম স্থিতিশীল করার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১০ লক্ষ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় পানি জমা রয়েছে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আগামী ৩০ বছর ধরে এই পানি সমুদ্রে ছাড়া হবে। জাপানের দাবি, এই পানি নিরাপদ।