পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইতিহাস সৃষ্টি করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। বুধবার থেকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে পাঁচটি রাত কাটিয়ে ফেলল। তবে তা পৃথিবীর সময় অনুযায়ী। চাঁদে অবশ্য একবেলাও কাটেনি চন্দ্রযান ৩-এর। আর এই সময়ের মধ্যে ঠিক কী কী করল রোভার প্রজ্ঞান? কতদূর পথ হাঁটল? কতটা মুনওয়াক হল তার? এই সমস্ত কিছু জানতেই মুখিয়ে রয়েছে পৃথিবীবাসী।
রোভার প্রজ্ঞান ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে কাজ করতে শুরু করেছে। সেই মিশনেই প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে ঢুকে মাটির তাপমাত্রা মেপে দেখা হয়েছে। গভীরে গেলে তাপমাত্রার তারতম্য কেমন হয় তা ধরা পড়েছে প্রজ্ঞানের এসটিই-তে (সারফেস থার্মোফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট)। তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইসরো। রবিবার টুইটারে একটি গ্রাফ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। চাঁদের মাটি পরীক্ষার জন্য ‘চেস্ট’ নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
Chandrayaan-3 Mission:
Here are the first observations from the ChaSTE payload onboard Vikram Lander.ChaSTE (Chandra's Surface Thermophysical Experiment) measures the temperature profile of the lunar topsoil around the pole, to understand the thermal behaviour of the moon's… pic.twitter.com/VZ1cjWHTnd
— ISRO (@isro) August 27, 2023
চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য খতিয়ে দেখাই এর কাজ। ইসরো জানাচ্ছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের অন্তত ১০ সেন্টিমিটার গভীরে যেতে পারে এই চেস্ট। চাঁদের মাটিতে অন্তত ১০ রকম তাপমাত্রা খতিয়ে দেখতে পারে রোভার প্রজ্ঞানের এই যন্ত্র। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেছে ইসরো। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে মাটির গভীরে ঢুকলে এই পরিসংখ্যান পালটে যায়। প্রতি ২০ মিলিমিটার গভীরে আলাদা রকমের তাপমাত্রা লক্ষ করা যাচ্ছে।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০ মিলিমিটার গভীরে গেলে তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উষ্ণতা নিয়ে এমন বিস্তারিত তথ্য জানা গেল। আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবে রোভার প্রজ্ঞান। ইতিমধ্যে ল্যান্ডার বিক্রমের হরাইজন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা দিয়ে তোলা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একাধিক ছবিও প্রকাশ করেছে ইসরো। মাটি নিয়েও চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।