পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরে কোটায় একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এবছর ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ জন ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ১৫। সুইসাইডের ঘটনা আটকাতে হস্টেল-মেসের সিলিং ফ্যানগুলিতে স্প্রিং সিস্টেম লাগানো হয়েছে। এতে ২০ কেজির বেশি ভারী কিছু ঝুললেই সেটা নিচের দিকে চলে আসবে ফ্যানসহ। তখন আর আত্মহত্যা সম্ভব হবে না। এছাড়াও সুইসাইড প্রুফ নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে হস্টেল ও মেসের ব্যালকনি। কেউ ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চাইলে তাতে আটকে যাবে। স্টিলের তৈরি এই নেটগুলি ১৫০ কেজির বেশি ওজন ধরে রাখতে সক্ষম। এর ফলে আত্মহত্যা রুখে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন কোচিং সেন্টারের মালিকরাও।
ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পেশাদারি কোর্সে ভর্তিপরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে রাজস্থানের কোটায় হাজির হয় বহু পড়ুয়া। উন্নত গুণমানের প্রশিক্ষণ হয় কোটায়, এই বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশে। তবে সেখানে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। অনেকেই প্রত্যাশার চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রশ্ন উঠছে, কেন এতজন মেধাবী পড়ুয়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে? মানসিক চাপ সামলানোর জন্য এখানকার সমস্ত পড়ুয়াদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সিলরের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক করা উচিত বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল।