পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নুঙ্গিতে হবে দর্জি হাব। কর্মস্থান হবে ১ কোটি মানুষের। বুধবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এ কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এ দিন ‘বাংলার শাড়ি’র দু’টি বিপনির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী দিনে সব জেলাতেই বাংলার শাড়ির আউটলেট করা হবে। জায়গাও দেবে রাজ্য সরকার।
এ দিন নুঙ্গির দর্জিহাবের ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, নুঙ্গিতে ৩ হাজার স্টল তৈরি করা হবে। দুয়ারে সরকারের কায়দায় দুয়ারে শিল্পের সন্ধানে চলতি মাসের ১ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এবং পুরসভায় শিবির করে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মোট ২ হাজার ৪০০টি শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ। ৬৭৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদিত হয়েছে।
তাঁর কথায়, ‘আগে শুনেছেন দুয়ারে সরকার, এবার শিল্পের সন্ধানে দুয়ারে শিল্প। মনে রাখবেন ক্ষুo মাঝারি শিল্পে দেশে আমরা এক নম্বরে। বাংলার দেড় কোটি মানুষ গ্রামীণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ৯০ লক্ষ ইউনিট রয়েছে। নট এ ম্যাটার অফ জোক।’ দর্জির কাজের সঙ্গে বহু সংখ্যালঘু মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে এই শিল্পের সঙ্গে তাঁদের যোগ। তাই দর্জিহাবের ‘বর শুনে ওস্তাগর মহলে খুশির হাওয়া।
জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য জীবন বিমা চালু করেছে রাজ্য। তার পরও বহু মানুষ ভিনরাজ্যে যান কাজের সন্ধানে। বুধবার মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেলসেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। দুর্ঘটনার ‘বর পেয়েই মিজোরাম সরকারের সঙ্গে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসুক। তাঁরা বাংলায় কাজ করতে পারেন। সরকার তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবেন।
র্যাগিং প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, র্যাগিং বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কেউ র্যাগিং-এর শিকার হলে সরাসরি আমাকে ফোন করুন। আপনার পরিচয় গোপন থাকবে।