পুবের কলম প্রতিবেদক: এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একে করোনায় রক্ষা নেই। তারওপর দোসর হচ্ছে ম্যালেরিয়া। কিন্তু গোল বাঁধছে অন্য জায়গায়। ম্যালেরিয়ার কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না রোগীর শরীরে। এদিকে উপসর্গ না থাকায় দেরি হয়ে যাচ্ছে সঠিক চিকিৎসায়। যার ফলে ভুক্তভুগি হতে হচ্ছে রোগীকে।
বেলভিউ হাসপাতালে দেখা মিলেছে এমনই উপসর্গহীন ম্যালেরিয়া রোগীর। সাধারণত– ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে– কিন্তু এক্ষেত্রে রোগীর গায়ে জ্বরের দেখা নেই। এদিকে যত দিন যাচ্ছে শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলো রোগীর। বারবার ছুটতে হচ্ছিল বাথরুমে। আর এতেই রক্ত পরীক্ষা করতে দেন চিকিৎসকরা। সেই রিপোর্ট আসতেই মাথায় হাত। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ম্যালেরিয়া বাসা বেঁধেছে শরীরে। এরপরেই ভাগীরথী নেওটিয়া উওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয় ওই রোগীকে। অন্য এক রোগী অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন ডায়রিয়ায়। পরে তাঁরও ম্যালেরিয়া রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে ওই রোগীর ক্ষেত্রেও– জ্বর ছিল না বা ম্যালেরিয়ার অন্যান্য কোনও উপসর্গ ছিল না।
এইসমস্ত ক্ষেত্রে কি করণীয়? এবিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোনও কারণ ছাড়াই শরীর দুর্বল হতে থাকলে তৎক্ষণাৎ সিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়াতে ভুগলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই সমস্ত কিছুই ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের মতোই চরিত্র বদলাচ্ছে ম্যালেরিয়া। তার ফলে বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন– প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ও পি ফেলসিফেরাম এই দু’ধরনের পরজীবী ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী। এদিকে অ্যান্টিজেন টেস্টে ম্যালেরিয়া পজিটিভ হলে অনেক সময়েই তা ফলস পজিটিভ হয়। তাই পেরিফের স্মিয়ার টেস্ট করেই নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় দেরি হয়ে গেলে রোগী কমায়ও চলে যেতে পারেন বলে মত চিকিৎসকদের। জানা গিয়েছে– বেলভিউয়ের চার জ্বরহীন ম্যালেরিয়া রোগীর মধ্যে একজনকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে।