পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কোনও ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি না জানালে বিবাহিত মহিলার সেই সম্পর্কে সম্মতি ছিল বলেই ধরে নেওয়া হবে, জানাল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতে লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক ৪০ বছর বয়সী মহিলা। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিং এই মামলা পর্যবেক্ষণ করে জানান, একজন বিবাহিত মহিলার সঙ্গে কোনও ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক স্থাপণ করার সময় ওই মহিলা অসম্মতি না জানালে, সেটিকে তার সম্মতি বলেই গণ্য করা হবে। এই মামলায় আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, আবেদনকারি মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। দুটি সন্তানকে রেখে দিয়ে তিনি নিজের ইচ্ছেতে স্বামীকে ছেড়ে রাকেশ যাদবের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন।
বিবাহিত মহিলা আদালতে জানিয়েছিলেন, ২০০১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান আছে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়। তাদের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়েছিলেন লিভ ইন সঙ্গী রাকেশ যাদব। সেই সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন রাকেশ। পাঁচ মাস তারা একসঙ্গে ছিলেন। সেই সময় রাকেশের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়।
এই মামলায় সহ অভিযুক্ত দ্বিতীয় আবেদনকারি রাকেশের ভাই রাজেশ যাদব ও বাবা লালা বাহাদুর। তাদের দুজনের বক্তব্য, রাকেশের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে একটি সাধারণ স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। দাবি করা হয় নোটারাইজড বিবাহ হয়েছে।
মামলায় বিরোধী পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়ে জানান, আবেদনকারি একজন ৪০ বছরের মহিলা, দুই সন্তানের মা, কোনটা ঠিক, ভুল বোঝার ক্ষমতা তাঁর আছে। তাই রাকেশ যাদব ও আবেদনকারি মহিলার মধ্যে সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে, একে ধর্ষণ বলা যায় না। গত ৪ আগস্ট এই মামলায় আবেদনকারির বিরুদ্ধে আদালত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। বিরোধী পক্ষকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে পালটা হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থগিতাদেশের ৯ দিন পরে পরবর্তী শুনানি।