দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : শনিবার রাত এগারোটায় আশ্রম গুরু রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে হাতে কাপড় ও সেলোটেপ দিয়ে বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলায়তন ভাঙার প্রতীকী আন্দোলনে সামিল হয়ে পড়ুয়ারা শুরু করে আশ্রম সঙ্গীত”সব হতে আপন আমাদের শান্তিনিকেতন”।তাঁরা জানান, গুরুদেবের গান গেয়ে শান্তিনিকেতনে অচলায়তন তারা ভাঙবে।
রবিবার সকালে অবস্থান মঞ্চ থেকেই বহিষ্কৃত পড়ুয়া সোমনাথ সৌ, রূপা চক্রবর্তী গান গাইতে গাইতে পুষ্প স্তবক নিয়ে উপাচার্য গৃহ পূর্বিতার সামনে হাজির হয়। কিন্তু মোতায়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। সোমনাথ সৌ জানান, শিক্ষক দিবসে উনাকে প্রণাম করতে গেছিলাম। কিন্তু উনি সারা দেন নি। উপাচার্যকে কোর্টে হেনস্থার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। আজ আমাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা দু:খজনক। উপাচার্য আমাদের অভিভাবক। কিন্তু উনি কোনদিন অভিভাবক সুলভ আচরণ করেন নি। অগত্যা পড়ুয়ারা পূর্বিতার গেটে পুষ্প স্তবক নামিয়ে এসেছে।
অন্যদিকে, দশদিন আন্দোলনের পর কোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্যর গৃহ থেকে পঁয়ষট্টি মিটার দূরে অনশন মঞ্চে রবিবার বেলা দুটোয় সত্যাগ্রহ শুরু করেন বহিষ্কৃত পড়ুয়া রূপা চক্রবর্তী।
একই সঙ্গে বেলা তিনটা নাগাদ অর্থনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য রিলে অনশনে বসেন। সত্যাগ্রহী পড়ুয়া রূপা চক্রবর্তী বলেন,গত মাসের সাতাশ তারিখ থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। উপাচার্য পড়ুয়াদের সাথে কোনো আলোচনায় বসতে চান নি। হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলেন ছাত্র আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে। এবার আমরণ অনশনে বসলাম আমরা। তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সত্যাগ্রহ চলবে।