পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। শনিবার এই রায় ঘোষণার প্রায় সঙ্গেই সঙ্গেই ইমরানকে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া তাকে এক কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছর আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপর তার বিরুদ্ধে তোশাখানার সম্পত্তি আত্মসাৎ ও তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে। তোশাখানা হল পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে বা বিদেশি অতিথিদের কাছ থেকে যদি কোনও উপহার পান তাহলে সেটি তাদের তোশাখানায় জমা দিতে হয়। তবে কেউ যদি সেসব উপহার নিতে চান তাহলে সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা দিয়ে সেগুলো নিতে পারবেন এমন বিধান আছে। ইমরান খানও সেই নিয়ম মেনে তোশাখানা থেকে কিছু উপহার নেন।
BREAKING: Pakistan’s former PM Imran Khan sentenced to three years imprisonment, disqualified from politics for five years.
— The Spectator Index (@spectatorindex) August 5, 2023
তবে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর ইমরানের বিরোধী রাজনীতিবিদরা দাবি করতে থাকেন যে, ইমরান তোশাখানা থেকে তথ্য গোপন করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। এরপর পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে পাক নির্বাচন কমিশন ও সরকার দলের আইনপ্রণেতারা মামলা করেন। মামলায় দাবি করা হয়, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে নেওয়া উপহারের প্রকৃত তথ্য ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছেন এবং উপহারগুলি বিক্রি করে দিয়েছেন।’ তবে এই মামলার সকল অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন ইমরান খান। বলেছেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলা বিরোধীদের মিলিত চক্রান্ত।
তোশাখানা আইন অনুযায়ী, সরকারের কোনও প্রতিনিধি যদি কোনও উপহার বা এ ধরনের বস্তু পেয়ে থাকেন তাহলে সেটি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে অবহিত করতে হবে। তবে ইমরান কিছু উপহার অবৈধভাবে রেখে দিয়েছিলেন বলে দাবি করে বিরোধীরা। এ কারণে ইমরান খানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন দাবি করে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তোশাখানার উপহার নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন। ২০২৩ সালের ১০ মে তাকে ইমরানকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।