পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নীতিশের গড়ে তারই ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ৮-৯ মাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। ২০২৪-এর ভোটে মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। ব্যতিক্রম নয় গেরুয়া সমর্থকরাও। এদিন বিহারে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। এনডিএ-জোটের উপস্থিত সাংসদদের উদ্দেশে বলেন, ওদের ইন্ডিয়া বলবেন না। বলবেন ‘ঘমান্ডিয়া’ অর্থাৎ অহংকারী।” দেশপ্রীতি থেকে নয় স্রেফ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে ইউপিএ নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্ডিয়া’ হয়েছে। নাম পরিবর্তন করলে ওদের পাপ ধুয়ে মুছে সাফ হবে না।
২০২৪-এর ফলাফল কি হবে সে ভাবনাচিন্তা বাদ দিয়ে আপাতত বিরোধী জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় শাসকদল। একদিকে মণিপুর সহ একাধিক ইস্যুতে মোদির ‘মৌন ব্রত’কে কটাক্ষ করে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। অন্যদিকে সুযোগ পেলেই অবিজেপি দলগুলিকে ধুয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার। আর বারবার বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে নিজেই বিতর্কে জড়াচ্ছেন তিনি।
‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হওয়ার পর থেকেই তাদের একাধিক নামে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কখনও এই জোটকে তুলনা করছেন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তো কখনও তুলনা করছেন পিএফওয়াই-এর সঙ্গে। বাদ পড়েনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও। এদিন বিহারের জোটসঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওদের দুর্নীতির কথা পুরো দেশ জানে। ইন্ডিয়া নামটা ব্যবহার করছে ওরা, অতীতের কর্মকাণ্ড লুকানোর জন্য। দেশাত্ববোধ থেকে নয় দেশকে লুট করার উদ্দেশে এই নাম। তবে ‘ইন্ডিয়া’কে নিয়ে মোদির অবমাননামূলক কথায় কার্যত লাভ দেখছে বিরোধী শিবির। অন্তত প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে হলেও বিরোধী জোটের প্রচার হচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন তারা।