পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মেধাবী ছাত্র মনজোত সিং। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রায়ই বন্ধুদের বলতেন, যখনই তারা রাজস্থানের কোটায় ছাত্রদের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করবে তখনই সে “পরবর্তী টার্গেট” হবেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই মেডিক্যাল পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
‘নিজের ইচ্ছায় এটি করেছি। দয়া করে আমার বন্ধু এবং বাবা-মাকে কষ্ট দেবেন না,’ সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন মনজোত সিং। আঠারো বছর বয়সী মনজোত উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার এক কোচিং সেন্টারের হোস্টেলে।
প্রসঙ্গগত, বর্তমানে কোটা শহরের বিভিন্ন কোচিং ইনস্টিটিউটে দু লাখের বেশি শিক্ষার্থী প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য কোচিং করছে। গত বছর কোচিং ছাত্রদের আত্মহত্যার অন্তত ১৫ টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্রদের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করলে মনজোত “পরবর্তী টার্গেট” হবেন বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। তারপরেই মনজোতের আত্মহত্যা। এ পর্যন্ত ১৯ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে, মনজোত দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। তারপর মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এপ্রিল মাসে কোটায় আসে। NEET-এর প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হোস্টেলের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মনজোতের দেহ পাওয়া যায়। তার হাত পেছনে বাঁধা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। “দুঃখিত”, “শুভ জন্মদিন বাবা” ও “আমি আমার নিজের ইচ্ছায় এটি করেছি। তাই, দয়া করে আমার বন্ধু এবং বাবা-মাকে কষ্ট দেবেন না” মৃত ছাত্রের রুম থেকে নোটগুলি উদ্ধার হয়েছে।
হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় পুলিশে। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।