পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা একটু একটু করে কাটিয়ে উঠছে শ্রীলঙ্কা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত জুলাইয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। গত সেপ্টেম্বরে যখন শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট চরমে, তখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। কিন্তু পরের ১০ মাসে সেই মূল্যস্ফীতি ১০ গুণেরও বেশি কমিয়ে এনেছে সরকার।
সাধারণত অর্থনীতিবিদরা আগের বছর বা মাস অথবা কোনও নির্দিষ্ট সময়কালের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে খাদ্য, কাপড়, পোশাক, বাড়ি, সেবা প্রভৃতি উপাদানগুলোর দাম বৃদ্ধির যে পার্থক্য যাচাই করেন, সেটাই মূল্যস্ফীতি। এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান দফতর জানায়, ২০২৩-এর জুলাইয়ে কলম্বো ভোক্তা মূল্য সূচকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
অথচ এক মাস আগেই তা ছিল ১২ শতাংশ। এর অর্থ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বিগত ২ বছরের মধ্যে দেশটিতে এই প্রথমবার মূল্যস্ফীতির হার এক অঙ্কে নামল। শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ এক অঙ্কের মূল্যস্ফীতি (৫ দশমিক ৮ শতাংশ) রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর থেকেই শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সেসময় নজিরবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলথেকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর আমদানির বিধিনিষেধ ফের শিথিল করে সরকার।