পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের হইচইয়ের মাঝেই বুধবার রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল অরণ্যের অধিকার বিরোধী বিল। বিরোধীদের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে এর আগের সপ্তাহে লোকসভায় পাশ হয়েছিল বিতর্কিত বন সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল। এদিন রাজ্যসভায় বিল পাশের ওয়াক আউট করে বিরোধীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনে এই বদল দেশের বন ও জীব-বৈচিত্র্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকারক। দেশের বন ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধ করতেই প্রধানত বন সংরক্ষণ আইন, ১৯৮০ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এবার নতুন বন সংরক্ষণ বিলের মাধ্যমে ওই আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন করাই ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মূল উদ্দেশ্য। বন সংরক্ষণ আইন, ১৯৮০ অনুযায়ী, সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া ভারতের সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন বন-বহির্ভূত কাজ যেমন দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রকল্প-সহ হাইওয়ে, রেললাইন, চিড়িয়াখানা, সাফারি ও ইকো-ট্যুরিজমের মতো একাধিক কাজে বনাঞ্চল ব্যবহার করা যাবে না। তার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু এই আইনের সংশোধিত বিলে দেশের সীমান্তের কাছাকাছি বনাঞ্চলগুলি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় গুরুত্বের স্বার্থে প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি, এই প্রস্তাবিত বিলটি নকশালপন্থী অধ্যুষিত ও সাঁওতাল এলাকায় সড়ক যোগাযোগকে আরও উন্নত করবে। কিন্তু ওয়াকিফহাল মহল বলছে, অরণ্য ধংস করা ও অরণ্যের জমি কর্পোরেট গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়াই এই আইনের উদ্দেশ্য। এদিন এই বিলটি ছাড়াও খনি ও খনিজ সম্পদ সংশোধনী বিলটিও পাশ হয়ে যায় বিনা বাধায়। ওয়াকিফহাল মহলের মত, মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের হইচইয়ের সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি কোনওরকম আলোচনা ও সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাচ্ছে।