পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:অবশেষে হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার দিন স্থির হল। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা মঙ্গলবার জানান, ৮ অগাস্ট থেকে আলোচনা শুরু হবে। ১০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জবাবি ভাষণ দেবেন। বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকে তাঁদের বড় জয় হিসেবে দেখছেন।
মঙ্গলবারও মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয় সংসদের উভয় কক্ষ। সদ্যগঠিত বিজেপি বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সব শরিক দাবি করে আসছিল, মণিপুরের হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বিবৃতি দিতে হবে। কিন্তু শাসকদল তাতে রাজি হচ্ছিল না।
গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ -এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় মণিপুরে। সেই রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
গত ৪ মে কঙ্গপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, মণিপুরে জাতিদাঙ্গা চলছে প্রায় তিন মাস ধরে। অথচ প্রধানমন্ত্রী সংসদে তা নিয়ে একটি কথাও খরচ করেননি। শুধু সংসদের অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনে সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে মোদি বলেছিলেন, এটা জাতির লজ্জা। দোষীরা কেউ পার পাবে না। সেদিন থেকেই মণিপুর নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীরা লাগাতার হইচই করে চলেছেন। মঙ্গলবার দশম দিনেও লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় একই কারণে।
লোকসভায় শাসকদল এনডিএ-র হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমর্থনে রয়েছেন ১৪৪ জন। ফলে সংখ্যার হিসাবে এই অনাস্থায় বিরোধীদেরই হার হবে। অর্থাৎ, সরকার পড়বে না। তবুও মণিপুর ইস্যুতে মোদিকে মুখ খোলাতে অনাস্থা এনে লোকসভা নির্বাচনের বিজেপিকে চাপে ফেলতে চাইছে বিরোধীরা।