পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:তিন মাস ধরে চলা মণিপুরের গোষ্ঠী-হিংসায় লাগাম পরাতে এবার রাজ্যকে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার প্রস্তাব দিলেন বিজেপি বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ। রাজ্যে জাতিগত যে বিভাজন আছে, তাকে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় নেই। জাতি-হিংসার জেরেই আলাদা প্রশাসনের দাবিতে সরব হয়েছেন কুকি সম্প্রদায়ের নেতারা। শনিবার কুকিদের দাবির বিরোধিতায় মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন মেইতেইরা।
গত ৩ মে রাজ্যে জাতি সহিংসতা শুরুর পরেই একাধিকবার কুকি অধ্যুষিত জেলা নিয়ে আলাদা প্রশাসন গড়ার দাবিতে সরব হয়েছেন কুকি সম্প্রদায়ের ১০ বিধায়ক। তার মধ্যে বিজেপির বিধায়করাও রয়েছেন। কুকি বিধায়কদের বক্তব্য, ‘রাজ্যের পিছিয়েপড়া জনজাতি গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। ফলে আলাদা প্রশাসন তৈরি করে তাদের হাতে কুকি অধ্যুষিত এলাকার দায়িত্ব ছাড়া হোক।’
সাক্ষাৎকারে হাওকিপ বলেন, ‘আমি যেভাবে বিষয়টাকে দেখছি তা হল, জাতিগত বিভাজনকে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্বীকৃতি দেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে মণিপুরকে ভেঙে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হোক।’
হাওকিপের প্রস্তাব মোতাবেক, গোটা রাজ্যকে কুকি, মেইতেই এবং নাগা অধ্যুষিত অঞ্চলকে আলাদা তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হবে। যদিও তাঁর এই প্রস্তাবের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। মণিপুরের মোট সংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই জনগোষ্ঠীর মানুষ, যাঁদের বাস মূলত ইম্ফল উপত্যকা অঞ্চলে। অন্যদিকে, রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে বাস কুকি এবং নাগাদের, শতাংশের বিচারে যাঁদের সংখ্যা ৪০।