পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিলিয়ন মূল্যের একটি রাজপ্রাসাদ। রয়েছে ৩০টিরও বেশি ব্যক্তিগত বিমান। হাজার হাজার দামী গাড়ি সহ হীরা ও সোনার গহনা। জানেন কি কে এই ব্যক্তি? তিনি আর কেউ নন, থাইল্যান্ডের রাজা রামা এক্স। পুরো নাম রাজা মহা ভাচিরালংকন।তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজাদের মধ্যে একজন।
২০১৮ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছি। সেই অনুসারে থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা মহা ভাচিরালংকনের মূল সম্পত্তি ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যার মধ্যে কোটি কোটি টাকার রাজকীয় প্রাসাদ, ৩০টিরও বেশি ব্যক্তিগত বিমান, বিভিন্ন প্রকার দামি গাড়ি, হীরা ও সোনার গহনা রয়েছে।
এছাড়া তিনি ১৬,২১০ একর জমির মালিক। তার মধ্যে ৪০,০০০ এর বেশি জমি ভাড়া চুক্তিতে রয়েছে। অর্থাৎ রাজার জমি ও সম্পত্তি ভাড়ায় নিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি লোক বা কোম্পানি। রাজার অধিকাংশ জমি (প্রায় ৩,২৮১ একর) ব্যাংককে। এখানে তাদের ১৭ হাজার ভাড়াটিয়া রয়েছে।
খুব কম লোকই জানেন যে রাজা মহা ভাচিরালংকনও একজন প্রশিক্ষিত পাইলট। তিনি সব ধরনের জাহাজ ওড়াতে জানেন। বলা হয় যে, তিনি যখনই বিদেশ সফরে যান, তিনি নিজেই নিজের বোয়িং ৭৩৭ বিমান চালান। এছাড়াও তিনি থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং একজন চমৎকার সাইক্লিস্টও বটে।
ভূমিবল অদুল্যাদেজের শেষকৃত্যে ৫০-১০০ নয়, প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাঁর মৃতদেহ সোনার তৈরি রথে রেখে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চক্রী রাজবংশের নবম সম্রাট ছিলেন, তাই তাকে “রাম নবম” বলা হয়। এরবপর যখন মহা ভাচিরালংকন রাজা হন, তাঁকে বলা হত ‘রাম দশম’। ভাচিরালংকন নিজেকে ভগবান রামের বংশধর মনে করেন।
১৭৮২ সালে থাইল্যান্ডের রাজার রাজকীয় প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২৩,৫১,০০০ জুড়ে বিস্তৃত এই প্রাসাদে রয়েছে সরকারি অফিস এবং জাদুঘর রয়েছে। তবে রাজা রামা এক্স এই রাজপ্রাসাদে থাকেন না। তাই এটি পর্যটনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রাসাদের চারপাশে একটি ১৯০০ মিটার দীর্ঘ প্রাচীর রয়েছে।