পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : নির্দেশ ছাড়াই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে হঠাৎই হাজির হলেন জেকেএলএফ (জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট) প্রধান ইয়াসিন মালিক। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে ইয়াসিনের উপরে। শুক্রবার ইয়াসিন মালিককে আদালতে দেখেই হইচই পড়ে যায়। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জেলের চার আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিক দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই তিহার জেলে বন্দি। এদিন তাকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হতে দেখে আদালতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রশ্ন করেন, এই ব্যক্তি আদালতে এলেন কীভাবে? বিচারপতিরাও জানান, তাঁরাও ওই প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চাইছেন। ইয়াসিন মালিককে তো সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও এই নিয়ে চিঠি লেখেন তুষার মেহতা। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘এটা নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুতর খামতি। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ যোগ রয়েছে। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদদের মামলা রয়েছে তাই নয়, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এদিন সহজেই আদালত থেকে পালিয়ে যেতে পারত বা জোর করে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়া সহ, খুনও হয়ে যেতে পারত। বড়সড় নিরাপত্তার গাফিলতি’।
এদিনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট ও সলিসিটার জেনারেলের উদ্বেগ প্রকাশের পরেই এদিন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ চার আধিকারিককে বরখাস্ত করে। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট সহ দুই সহকারি সুপার ও তিহার জেলের আরও এক কর্মী।