পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এখনও জ্বলজ্বল করছে ওড়িশার ‘ট্রিপল ট্রেন ট্র্যাজেডি’র ঘটনা। একের পর এক মৃত্যুতে সংখ্যা ঠেকেছিল ২৯৫-এ। আহত ছিল গণনাতীত। এখনও অশানাক্ত বহু দেহ। পরিবার-পরিজনের খোঁজ নেই। ঠিক কীভাবে ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা? তদন্ত এখনও জারি।
‘কবচ’প্রযুক্তি কি তাহলে ব্যর্থ হল? ‘কবচ’ প্রযুক্তি কি কাজ করল না? ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নানা মহলে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছিল। ট্রেনে ছিল না কোনও সুরক্ষা ‘কবচ’ উক্ত সময়ে সাফ জানিয়েছিল ভারতীয় রেল। করোমণ্ডল কাণ্ডের পর থেকেই ট্রেনের সুরক্ষা বাড়াতে আরও তৎপর হয়েছে রেল, শুক্রবার সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লি- মুম্বই ও দিল্লি- হাওড়া করিডোরে কবচ সুরক্ষা লাগু করার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথ ছাড়াও ৭৬০টি রেল ইঞ্জিনকে ‘কবচ’ সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বরাত দেওয়ার কাজ।
রেল সূত্রের খবর, ‘কবচ’ প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য ট্র্যাক সার্কিট ব্যবস্থায় বদল আনতে প্রতি কিলোমিটারে ২০ লক্ষ এবং প্রতিটি রেল ইঞ্জিনে প্রয়োজনীয় যন্ত্র বসানোর জন্য ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে ।
‘কবচ’ হল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম। অর্থাৎ বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ করতে কার্যকরী এই সিস্টেম। রেলের দাবি, ওই প্রযুক্তিতে ট্রেন সর্বাধিক ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছোটানো যাবে। এখনও পর্যন্ত এই কবচ প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ৩৫১.৯১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে ২০১৮-১৯ সালে কবচ সাপ্লাই করার জন্য তিনটি ফার্মকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারপর ২০২০ সালের জুলাই মাসে এই কবচ প্রযুক্তিকে ন্যাশানাল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, বর্তমানে মাত্র ১৪৬৫ কিমি রেললাইনে এই কবচ প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। এছাড়া, ১২১টি লোকোমেটিভের সঙ্গে এই প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে বলে খবর। বর্তমানে তিনটি ভারতীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে এই কবচ তৈরির ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া রয়েছে। আপাতত আরও প্রস্তুতকারকদের এই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।