”পরিত্যক্ত একটি মসজিদ। ওপরে মাত্র একটি গম্বুজ। আছে ছোট একটি দরজা। ভেতরে মাত্র ৫জন মানুষের নামায পড়ার জায়গা। পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে এরচেয়ে ছোট মসজিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি। তাই অনেকের মতে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ।”
বিশেষ প্রতিবেদন: বাংলাদেশে নতুন রূপে সেজেছে প্রাচীন স্থাপত্য নকশা ও আরবি হরফ মুদ্রিত ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘এক গম্বুজ মসজিদ’। স্থাপত্যটিকে ঘিরে শুরু থেকেই মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কে কখন এটি নির্মাণ করেছেন, তার সঠিক কোনও তথ্য নেই।
তবে লোকমুখে শোনা যায়, কয়েকশ’ বছর আগে এক রাতে অলৌকিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে মসজিদটি। কালের বিবর্তনে মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি এর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। রং করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, নবনির্মিত মসজিদ। ঐতিহাসিক এ মসজিদটি এক নজর দেখতে ভিড় করছেন কাছের ও দুরের উৎসুক মানুষ। তবে পাশেই বড় একটি মসজিদ নির্মিত হওয়ায় ছোট মসজিদটিতে এখন আর নামায আদায় করা হয় না। মসজিদটি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ি গ্রামে অবস্থিত। এর পূর্বে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও পশ্চিম পাশ দিয়ে গেছে পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাট সড়ক।
এটি দেশের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ, যা প্রাচীন ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। অন্তত ২৫০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদটি এক কক্ষ বিশিষ্ট। এর উপরিভাগে একটি গম্বুজ এবং চার কোণায় রয়েছে চারটি পিলার। প্রাচীন এ মসজিদটিতে একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারেন ইমামসহ চার থেকে পাঁচজন।