পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপি দেশকে থেকে সমূলে উৎখাত করতে ফের দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসছে বিরোধীদলগুলি। আর সেই বৈঠকের আগেই বিজেপিকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী।
কর্নাটকের সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে জেডিএসের। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্নাটকে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এবার সেই কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে কুমারস্বামী বলেন, কৃষকদের আত্মহত্যা দিয়ে বিচলিত নয় কর্নাটকের সরকার। তাদের এই জয় তারা একটি বড় অর্জন হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের সময় বেঙ্গালুরুতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী নেতাদের ‘ঐতিহাসিক সমাবেশ’। ফের মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে বিহারের পর দ্বিতীয়বার বৈঠক হতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। সোম ও মঙ্গলবার সেই বৈঠকে থাকছেন সনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি সহ আরও বহু রাজনৈতিক নেতা-নেতৃত্বরা। কিন্তু সেখানে দেখা যাবে না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া প্রতিষ্ঠিত জেডিএসের কোনও নেতাকে। এই চাপানউতোর পরিস্থিতিতেই বিজেপির সঙ্গে জোট করার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার কুমারস্বামী বলেন, ‘লোকসভা ভোটের এখনও আট-ন’মাস দেরি আছে। এত তাড়াতাড়ি এত কিছু বলা সম্ভব নয়। রাজনীতিতে অনেক কিছুই হতে পাবে। সময় এলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ সেই সঙ্গে বিরোধী নেতাদের বৈঠককে কটাক্ষ করে কুমারস্বামীর বক্তব্য, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তা পূরণ হবে না।’
জেডিএসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সমঝোতার প্রাথমিক শর্ত হিসাবে কুমারস্বামীকে কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে বিজেপি।
বস্তুত, ২০০৬ সালে কর্নাটকে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। কর্নাটকের সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে জেডিএসের ভরাডুবির পর দু’টি ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেডিএস। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট ঘিরে বিতর্কে জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর নিশানায় ছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। গত ২৮ মে সংসদ ভবন উদ্বোধন কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিল জেডিএস। এর পর জুন মাসের গোড়ায় ওড়িশার বালেশ্বর করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে বিরোধীদের তরফে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর ইস্তফা দাবি করা হলেও জেডিএস তার বিরোধিতা করে বলার হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে বালেশ্বর দুর্ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করা অযৌক্তিক।