eপুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমাজমাধ্যমে বহু চর্চিত নাম আইএএস অফিসার টিনা ডাবি। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর এই প্রথমবার মা হতে চলেছেন তিনি। এর জন্য তিনি রাজস্থান সরকারের কাছে মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেছেন। টিনার সেই চিঠি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। তাঁর মাতৃত্বকালীন ছুটি অনুমোদন করেছে রাজস্থান সরকার।
টিনা ছুটিতে চলে যাওয়ায় জয়শলমীরের কালেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছেন আইএএস অফিসার আশিস গুপ্তা। আগামীদিনে তিনি জেলাশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার আশিস গুপ্তা বর্তমানে জয়পুরে সরকারি চাকরির উচ্চপদে রয়েছেন। তিনি স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন টিনার ডাবির পদে। জলশলমীরের প্রথম জেলাশাসকের ভূমিকায় দেখা গেছে টিনাকে। টিনা ডাবি তার বিয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসেন। ২০১৫ সালে আইএএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন টিনা৷ দলিত সম্প্রদায় থেকে তিনিই প্রথম এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান পান। টিনা বিয়ে করেছিলেন আইএএস অফিসার আথার আমির খানকে।
২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন আথার। তবে তাদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। টিনা ও আমিরের দু’ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০২১ সালে। এর পর টিনা ডাবি দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসেন। টিনার দ্বিতীয় স্বামীর নাম প্রদীপ গওয়ান্ডে। প্রদীপও একজন আইএএস, সরকারি অফিসার। টিনা ও প্রদীপের দুজনের বিয়ে হয় অতিমারির সময়। গত বছর দুজনে বিয়ে করেন। টিনার বিয়ের পরেই তার প্রাক্তন স্বামী আথার আমির নিজের বাগদানের ছবি শেয়ার করেন সামাজিক মাধ্যমে। আথার আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহরীন কাজী পেশায় একজন চিকিৎসক।
জয়সলমীরের জেলাশাসক পদে কর্মরত অবস্থায় একাধিক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন টিনা। তিন মাসের জন্য ‘জয়সলমীরের শক্তি লেডিস ফার্স্ট’ প্রকল্প বিশেষ সাড়া ফেলেছিল মহিলাদের মধ্যে। সমাজমাধ্যমেও যথেষ্ট সক্রিয় ও জনপ্রিয় তিনি।
টিনার সন্তানসম্ভবনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাকে পুত্র সন্তানের জন্য আশীর্বাদ জানিয়ে বেশ কয়েকজন বৃদ্ধা তাকে শুভেচ্ছা জানান। তবে টিনা জানিয়েছেন, পুত্র বা কন্যা সন্তানের মধ্যে তিনি কোনও পার্থক্য করেন না তিনি। আপাতত সন্তান জন্মানোর অপেক্ষায় আইএএস অফিসার টিনা ডাবি।