পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার লং আইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মুসলিম ঐতিহ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ জুলাই শহরের টাউন হল পার্কে তা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের বিভিন্ন বর্ণ, বয়স, পেশা ও ধর্মের লোকেরা এতে অংশগ্রহণ করেন। সামাজিক ঐক্য, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। উৎসবে মুসলিম সংস্কৃতি, খাদ্য, পোশাক ও মেহেন্দির প্রদর্শনী হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজক লামিয়া এলকোলিলি বলেন,’ আজ আমরা ইতিহাস রচনা করলাম। মনুষ্যত্বের বার্তা নিয়ে বিভিন্ন সমাজ থেকে উঠে আসা আমার ভাই ও বোনেরা সমবেত হয়েছে।
আমরা ভালোবাসার বার্তা দিতে এবং ঘৃণাকে প্রতিহত করতে চাই।’ মুসলিম ঐতিহ্য উৎসবে মুসলিম ও অমুসলিম সবাই অংশগ্রহণ করে এবং তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। জেসমিন রবিনসন স্বামী জেমস কিংয়ের সঙ্গে উৎসবে অংশ নেন। কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই তারা সেখানে যান।
কিং বলেন, ‘আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। তবে আমি এখানে এসে আনন্দিত।’ রবিনসন বলেন, ‘সব কিছুই দৃষ্টিনন্দন। কাপড়গুলো বেশি সুন্দর। আমি অন্য সংস্কৃতির প্রশংসা করতে ভালোবাসি।’
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এক দশক আগে এখানে কেবল ২৪টি মসজিদ ছিল। বর্তমানে এখানে ৪০টিরও বেশি মসজিদ আছে। আগামী মাসে মুসলিমরা প্রথমবারের মতো হালাল পণ্যের প্রদর্শনী ও উৎসবের আয়োজন করছে। এর আগে মুসলিমদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর জানুয়ারিতে ‘মুসলিম ঐতিহ্যের মাস’ পালনের ঘোষণা করেছিল আমেরিকার নিউ জার্সি শহর কর্তৃপক্ষ। নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি বলেছিলেন, ‘নিউ জার্সিতে মার্কিন মুসলিমদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক অতীত রয়েছে। তাদের সে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জানুয়ারি মাসকে মুসলিম ঐতিহ্যের মাস হিসেবে ঘোষণা করছি।’