পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : স্কুলে টিপ পরে যাওয়ার অপরাধে শিক্ষকের ক্রোধের সামনে পড়তে হল এক স্কুল পড়ুয়াকে। শিক্ষার্থীকে এই অবস্থায় দেখে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি সেই স্কুলশিক্ষক। তাঁর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে পড়ুয়ার ওপরে। স্কুলে ইউনিফর্মের সঙ্গে টিপ কেন? শিক্ষকের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি পড়ুয়া। এর পরেই সহপাঠীদের সামনে পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক। ঘটনার পর সারাদিন স্কুলে চুপচাপ-ই ছিল শিক্ষার্থী। কিন্তু বাড়ি ফিরে চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করে সে। মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির বাড়ির লোক পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সহপাঠীদের সামনে মার খাওয়া অপমান মনে হয়েছিল পড়ুয়ার, সেই কারণেই হয়তো চরম সিদ্ধান্ত নেয় সে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর পরই উত্তপ্ত হয় এলাকা, স্থানীয় বাসিন্দারা পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে এক স্কুল পড়ুয়া আত্মহত্যা করে। স্কুলে টিপ পরে যাওয়ার জন্য শিক্ষক ওই পড়ুয়াকে মারধর করেন। সেই অপমানেই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রিয়াঙ্ক কানুনগো আরও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে ধানবাদে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধানবাদের তেতুলমারি এলাকায় একটি স্কুলে পড়ত ওই কিশোরী। সোমবার ইউনিফর্মের সঙ্গে টিপ পরে গিয়েছিল সে। তাকে দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই শিক্ষক। ক্লাসের মধ্যেই অন্যান্য সকল সহপাঠীদের সামনে তাকে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক।
মঙ্গলবার মৃত কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
ঝাড়খণ্ডের শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন উত্তম মুখোপাধ্যায়ও জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি সিবিএসই অনুমোদিত ছিল না। তিনি নিজে গিয়ে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে জানানো হয়েছে।