দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: ‘উপাচার্য মানসিকভাবে সুস্থ কিনা প্রশ্ন জাগে’, পড়ুয়াদের সমর্থন জানাতে আন্দোলন মঞ্চে এসে এইভাবেই মন্তব্য করলেন আশ্রমিক পবিত্র মুখোপাধ্যায়। পবিত্রবাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসক প্রয়াত ডা. শৈলেন মুখোপাধ্যায়ের পুত্র ও প্রাক্তনী। পবিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি উপাচার্য হিসেবে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে এই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পর্যন্ত সকলকে দেখলাম। কিন্তু এমন বাজে উপাচার্য আগে কখনও দেখিনি। উনি মানুষ হিসেবে সুস্থ কিনা তাও মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে। বিগত কয়েক বছরে উনি বিশ্বভারতীর হাল বেহাল করে দিয়েছেন।”
এদিন আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালন আশ্রমিক উমা সেন, শান্তনু সেন, সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ প্রাক্তনীরা। বৃহস্পতিবার অশক্ত শরীরেই সেখানে তারা থাকলেন কিছুক্ষণ। সামর্থ্য অনুযায়ী করলেন সাহায্যও।
অপর প্রাক্তনী সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” আমরাও দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। তিনি যেভাবে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলছেন, তা সম্পূর্ণ শান্তিনিকেতন এবং রবীন্দ্রনাথের আদর্শের পরিপন্থী। তার বিরোধিতা করে আমরা বারবার সরব হয়েছি। আমার মনে হয় শুধুমাত্র উপাচার্যের বিরুদ্ধে নয়, তার সমস্ত সহযোগীর বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সহ পাঁচজন পুলিশ কর্মী, উপাচার্যের বাড়ির সামনে নিযুক্ত করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসন। উপাচার্যের ইমেলের পর এবার আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইমেল করল বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিউফা। বিশ্বভারতীর হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনবার আবেদন জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের অবিলম্বে তদন্ত শুরু করার দাবিও জানানো হয়েছে ওই ইমেলে।
এদিকে কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের ছাত্র শুভেন্দু সরকার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে কার্টুন বানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ গানের তালে তালে মিউজিক আর্টের ভিডিওটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।